"অশ্বগন্ধা"
হোমিও ঔষধ: Arshagandha
প্রচলিত নামঃ অশ্বগন্ধা
ইংরেজী নামঃ Withania Root / Winter Cherry
বৈজ্ঞানিক নামঃ Withania somnifera Dunal.
পরিবারঃ Solanaceae
==================
অশ্বগন্ধা একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এই গাছের পাতা সেদ্ধ করলে ঘোড়ার মূত্রের মতো গন্ধ বেরোয় বলে একে অশ্বগন্ধা বলে হয়।এই পাতার বৈজ্ঞানিক নাম ‘উইথানিয়া সোমনিফেরা । আয়ুর্বেদে একে বলা হয় বলদা ও বাজিকরি।
অশ্বগন্ধা গাছের মূল এবং পাতা স্নায়ুর বিভিন্ন রোগে ব্যবহৃত হয়। এই গাছ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকায় পাওয়া যায়। ঘুম আনার ওষুধ হিসাবে প্রাচীন মেসোপটেমিয়া এবং মিশরে এর ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়।
অশ্বগন্ধার মূল, পাতা, ফুল, ফল, ছাল, ডাল সবই ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। গাছটি সাধারণত দুই-আড়াই হাত উঁচু হয় এবং শাখাবহুল। এতে ছোট ছোট মটরের মতো ফল হয়।
ভেষজ গুণ-
এ গাছের রস শক্তিবর্ধক। শুক্রাণু বাড়াতে অশ্বগন্ধার নাম সুবিদিত।
অশ্বগন্ধার এর মূল ও পাতা স্নায়ুবিক বিভিন্ন রোগে উপশম আনে। দুধ ও ঘিয়ের সঙ্গে পাতা ফুটিয়ে খেলে শরীরে বল পাওয়া যায়। ইনসমনিয়ায় বা অনিদ্রায় ভুগলে অশ্বগন্ধা উত্তম ওষুধ হিসাবে কার্যকর হতে পারে।
ভালো ঘুমের জন্য অশ্বগন্ধা গুঁড়ো চিনিসহ ঘুমানোর আগে খেতে পারেন।
সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে অশ্বগন্ধার মূল গুঁড়ো করে খাওয়া যেতে পারে।
চোখের ব্যথা দূর করতে অশ্বগন্ধা বিশেষ উপকারী।
ক্রনিক ব্রংকাইটিসের ক্ষেত্রেও অশ্বগন্ধা একটি কার্যকর ওষধু। অশ্বগন্ধার মূল অন্তর্ধুমে পুড়িয়ে (ছোট মাটির হাঁড়িতে মূলগুলো ভরে সরা দিয়ে ঢেকে পুনঃমাটি লেপে শুকিয়ে ঘুটের আগুনে পুড়ে নিতে হয়। আগুন নিভে গেলে হাঁড়ি থেকে মূলগুলো বের করে গুঁড়ো করে নিতে হয়) ভালো করে গুঁড়িয়ে নিয়ে আধা গ্রাম মাত্রায় একটু মধুসহ চেটে খেলে ক্রনিক ব্রংকাইটিসে উপকার হয়।
মানসিক ও শারীরিক দুর্বলতা, যেমন মাথা ঝিমঝিম করে ওঠা, সংজ্ঞাহীনতা, অবসাদ প্রভৃতি দূর করে অশ্বগন্ধা। মনোযোগ বাড়ায়। ক্লান্তি দূর করে সঞ্জীবনী শক্তি পুনরুদ্ধার করে।
অম্বল-অজীর্ন, পেট ফাঁপা এবং পেটের ব্যথা নিরাময় সহ যকৃতের জন্য ভীষণ উপকারী অশ্বগন্ধার ফল। হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে অশোধিত অশ্বগন্ধা গুঁড়ো বা পাউডার হজমে গোলমাল সৃষ্টি করে। এর ফলে তলপেটে ব্যথা উঠতে পারে। সুতরাং যাদের হজমশক্তি দুর্বল, তাদের অবশ্যই ভালো মানের অশ্বগন্ধা সেবন করতে হবে।
হোমিওপ্যাথিতে অশ্বগন্ধার ব্যবহার-
প্রথমে মূল আরক হতে মাদার টিংচার প্রস্তুুত করা হয়।এরপর শক্তিকরন করা হয়।বন্ধা পুরুষের সমস্যার কারনে বাচ্চা না হলে ধরেই নিতে হবে ব্যক্তি ওলিগোসফারমিয়া বা এজোসফারমিয়ার রোগী।দ্বিতীয় সমস্যার ক্ষেত্রে মেডিকেল সাইন্স কোন সমাধান বের করতে পারে নাই তবে ওরিগোসফারমিয়ার ক্ষেত্রে অথাৎ শুক্রানু কম থাকলে সার্বিক দিক বিবেচনায় অশ্বগন্ধা সেবনে পুরুষকে সন্তান জন্মদানে সক্ষম করা সম্ভব।
বিদ্র: * সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে রেজিস্টারেড অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।
0 Comments